May 18, 2024, 5:44 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী পাইকগাছায় গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মৃত্যু পাইকগাছায় সপ্তদ্বীপার সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন; পাইকগাছায় ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ মোট ১৯ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে সুন্দরগঞ্জ সাহিত্য সংসদের নতুন কমিটি গঠন বরগুনার তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাজশাহীর আম চীন, রাশিয়া বেলারুশসহ বিভিন্ন দেশে যাবে-কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ শত ভাগ পাশের সাফল্যে আঙ্গারু এস.এ বালিকা বিদ্যালয় র‌্যাব-১২’র অভিযানে ২১৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ রায়গঞ্জে কুইজ প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ
তানোরের কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যর নায্যমূল্য পাচ্ছেন না

তানোরের কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যর নায্যমূল্য পাচ্ছেন না

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে ক্রটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা ও মধ্যস্বত্ত্বভোগী সিন্ডিকেট চক্রের কারণে বাম্পার ফলনের সুফল পাচ্ছেন না। আওয়ামী লীগ সরকারের দেয়া কৃষি ভুর্তুকিতে বিপুল উৎসাহ নিয়ে কৃষকেরা
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজস্ব পুঁজি বিনিয়োগ করে প্রতিনিয়ত উৎপাদন
বৃদ্ধি করছে। অথচ ক্রুটিপুর্ণ বাজার ব্যবস্থার কারণে উৎপাদিত পণ্যর নায্যেমূল্য পাচ্ছেন না কৃষক। ফড়িয়া মধ্যস্বত্ত্বভোগী সিন্ডিকেট চক্রের কারণে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না থাকায় কৃষকের চোখের সামনেই মাঠের মধ্যেই উৎপাদিত
ফসল পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, নইলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসলের এই বেহাল দশায় তাদের নির্বাক হয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকছে না। ক্রটিপূর্ণ
বাজার ব্যবস্থা, প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের
অভাব এবং স্থানীয় কাঁচা বাজারের প্রতি সরকারের তেমন কোনো দৃষ্টি না থাকায়
কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের নায্যেমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের কৃষক মইফুল ইসলাম ও রাব্বানী বলেন, প্রতিবছর হিমাগার মালিক ও ফড়িয়া সিন্ডিকেটের কারনে আলুচাষিরা নায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা সরকারিভাবে আলু কেনার দাবি করেছেন।
স্থানীয় কৃষিবিদদের অভিমত, ফড়িয়া মধ্যস্বত্ত্বভোগী সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য কৃষকেরা জিম্মি বাজার ব্যবস্থায় উৎপাদকরা কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। সিংহভাগ সময় কৃষি পণ্যর বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া সিন্ডিকেট চক্র। ফলে রোদে পুড়ে
বৃষ্টিতে ভিঁজে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষক ফসল উৎপাদন করলেও তার
নায্যমূল্যে পাচ্ছে না। পার্শ্ববর্তীসহ বিভিন্ন দেশে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য নিদ্রিষ্ট পাইকারি বাজার থাকলেও আমাদের এখানে কোন পাইকারি বাজার নেই। আবার কৃষক কম দামে পণ্য বিক্রি করলেও তার সুফল পাচ্ছে না ভোক্তারা। মাঠ থেকে আড়ত পর্যন্ত কয়েক স্তরে হাত বদল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে পণ্যর দাম। সেই মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া চক্রের বেঁধে দেয়া দামেই ক্রেতাদের তা কিনে খেতে হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বছর আলুর ভালো দাম পাওয়ায় এবছর আলুর বাম্পার
ফলন হয়েছে। কিন্ত্ত মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে বাজারে আলুর দাম আশংকাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। গত বছর যেখানে জমিতে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবার ভরা মৌসুমে সেই আলুর দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ১১ টাকা। অথচ এক কেজি আলুর উৎপাদন খরচ গড়ে সাড়ে ১০ টাকা। এতে যে উৎসাহ নিয়ে কৃষক আলু চাষ করেছিল, বাম্পার ফলনের সঙ্গে দাম পড়ে যাওয়ায় তাদের উৎসাহ ও মূখের হাসি উবে গেছে। একই অবস্থা ছিল টমোটোর ক্ষেত্রে। প্রতি কেজি টমেটোর উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ১০ টাকা অথচ বাজারে বিক্রি হয়েছে ৫ থেকে ৮ টাকায়। নায্যেমুল্য না পাওয়ায় অনেকেই জমিতে সার ও গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন। একই অবস্থা হয়েছে বাঁধা কপির ক্ষেত্রেও দাম না পেয়ে কৃষকরা ক্ষেতের ফসল গবাদিপশু
দিয়ে খাইয়ে দিয়েছে।ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যর
নায্যমূল্য না পেয়ে চরম হতাশ। এলাকার কৃষকেরা উপজেলায় কৃষি বাজার, কৃষি পক্রিয়াজাতকরণসহ কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে অনুরাধ জানিয়েছেন। এবিষয়ে সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন,
অপ্রিয় হলেও সত্য কৃষি প্রধান এই এলাকার কৃষকরা অধিকাংশ সময়
তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যর নায্যমূল্যে থেকে বঞ্চিত হয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছে,আগামীতে সুষ্ঠু বাজার ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা তৈরী
হলে কৃষকদের এই অসুবিধা আর থাকবে না। তিনি আরো বলেন, কেউ কৃষিপণ্য পক্রিয়াজাতকরণ বা কৃষিভিত্তিক
শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে চাইলে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে
সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। #

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD